সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ,অর্থ pdf । সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ ছবি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা আশা করি মহান আল্লাহ তা'লার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা সবাই ভালো আছেন । আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ,অর্থ pdf সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ ছবি । আপনারা অনেকেই  সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ খুঁজে থাকেন তাই আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব । চলুন শুরু করা যাক । 

সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ,অর্থ pdf । সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ ছবি


আপনারা অনেকেই গুগলে খোঁজাখুজি করে থাকেন সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ, সুরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারন ছবি । কিন্তু আপনারা খোজাখুজি করে পাচ্ছেন না । তাই আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি । চলুন শুরু করা যাক ।  

সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ


সুরাঃ আল-ফাতিহা

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রহমা-নির রহি-ম।

বাংলা অর্থ : শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আ -লামি-ন।

বাংলা অর্থ  : যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।

الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

উচ্চারণ : আররহমা-নির রাহি-ম।

বাংলা অর্থ  : যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।

مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ

উচ্চারণ : মা-লিকি ইয়াওমিদ্দি-ন।

বাংলা অর্থ  : বিচার দিনের একমাত্র অধিপতি।

إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ

উচ্চারণ : ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাই’-ন

বাংলা অর্থ  : আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ

উচ্চারণ : ইহদিনাস সিরাতা’ল মুসতাকি’-ম

বাংলা অর্থ  : আমাদের সরল পথ দেখাও।

صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ

উচ্চারণ : সিরাতা’ল্লা যি-না আনআ’মতা আ’লাইহিম গা’ইরিল মাগ’দু’বি আ’লাইহিম ওয়ালা দ্দ-ল্লি-ন।

সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ ছবি

আপনারা অনেকেই সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ ছবি খুঁজে থাকেন, তাই আমি এখানে শেয়ার করতে যাচ্ছি সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ ছবি । দেখে নিন নিচে শেয়ার করা হলো আশা করি আপনার পছন্দ হবে । 

সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ ছবি

সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ ছবি

সূরা ফাতিহা আরবি লেখা

আপনারা অনেকেই সূরা ফাতিহা আরবি লেখা খুঁজে থাকেন, তাই আমি আপনাদের জন্য সূরা ফাতিহা আরবি লেখা নিয়ে এলাম । আশা করি আপনার ভালো লাগবে । 

۝‎‎بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে।
ٱلْحَمْدُ لِلَّٰهِ رَبِّ ٱلْعَالَمِينَ ۝‎
আলহামদুলিল্লা-হি রব্বিল আ-লামীন।
সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যে।
ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ۝‎
আর রহমা-নির রহীম।
অনন্ত দয়াময়, অতীব দয়ালু।
مَالِكِ يَوْمِ ٱلدِّينِ ۝‎
মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন।
প্রতিফল দিবসের মালিক।
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ۝‎
ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কানাছতা’ঈন।
আমরা শুধু আপনারই দাসত্ব করি এবং শুধু আপনারই নিকট সাহায্য কামনা করি।
ٱهْدِنَا ٱلصِّرَاطَ ٱلْمُسْتَقِيمَ ۝‎
ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম।
আমাদের সরল পথনির্দেশ দান করুন।
صِرَاطَ ٱلَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ ۝‎
সিরা-তাল্লাযীনা আন’আম তা’আলাইহিম।
তাদের পথে, যাদের আপনি অনুগ্রহ করেছেন।
غَيۡرِ ٱلْمَغْضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا اَ۬لضَّآلِّينَ ص۝‎
গাইরিল মাগদূ বি’আলাইহীম ওয়ালাদ্দাল্লীন। (আমিন )
এবং তাদের পথে নয় যারা আপনার ক্রোধের শিকার ও পথভ্রষ্ট । ( কবুল করুন )

সূরা ফাতিহা নাযিলের প্রেক্ষাপট


এটি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়াত লাভের একেবারেই প্রথম যুগের সূরা। বরং হাদীসের নির্ভরযোগ্য বর্ণনা থেকে জানা যায়, এটিই মুহাম্মাদের (সা.) ওপর নাযিলকৃত প্রথম পূর্ণাঙ্গ সূরা। এর আগে মাত্র বিচ্ছিন্ন কিছু আয়াত নাযিল হয়েছিল। সেগুলো সূরা 'আলাক্ব', 'মুয্‌যাম্‌মিল' ও 'মুদ্‌দাস্‌সির' ইত্যাদিতে সন্নিবেশিত হয়েছে।

সূরা ফাতিহা ব্যাখ্যা

এ সূরার প্রথম ও তৃতীয় আয়াতে আল্লাহ্‌র গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে আর-রাহমান ও আর-রাহীম উল্লিখিত হয়েছে। রহম শব্দের অর্থ হচ্ছে দয়া, অনুগ্রহ। এই 'রহম' ধাতু হতেই 'রহমান' ও 'রহীম' শব্দদ্বয় নির্গত হয়েছে। 'রহমান' শব্দটি আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কারও জন্য ব্যবহার করা জায়েয নেই। অন্যদিকে 'রহীম' সৃষ্টজগতের কারও কারও গুণ হতে পারে। তবে আল্লাহ্‌র গুণ হলে সেটা যে অর্থে হবে অন্য কারও গুণ হলে সেটা একই অর্থে হবে না।[১]

সূরাটির দ্বিতীয় আয়াতে আল-হামদু কথাটি আশ-শুক্-র্ থেকে অনেক ব্যাপক, যা আধিক্য ও পরিপূর্ণতা বুঝায়। 'আশ-শুক্-র্ লিল্লাহ' বলার অর্থ হতো এই যে, আমি আল্লাহ্‌র যে নিয়ামত পেয়েছি, সেজন্য আল্লাহ্‌র শুকরিয়া আদায় করছি। অপরদিকে 'আল-হামদুলিল্লাহ' এর সম্পর্ক শুধু নিয়ামত প্রাপ্তির সাথে নয়।[১] মানুষ যখন আল্লাহ্‌ ছাড়া অপর কারো গুণ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে তার প্রশংসা করতে শুরু করে, তখন মানুষ তার ভক্তি-শ্রদ্ধার জালে বন্দী হয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত সে মানুষের দাসত্ব ও মানুষের পূজা করতে আরম্ভ করে। এই অবস্থা মানুষকে শিরকের পথে পরিচালিত করতে পারে। সে জন্য যাবতীয় 'হামদ' একমাত্র আল্লাহ্‌র জন্যই করার শিক্ষা দেয়া হয়েছে।[১]

সৃষ্টিজগতকে আলাম এবং বহুবচনে আলামীন বলা হয়। সূরা আশ-শু'আরার ২৩-২৪ আয়াতদুটিতে বলা হয়েছে,
ফিরআউন বলল : "রাব্বুল আলামীন কি?" মূসা বললেন : "যিনি আকাশসমূহ-ভূপৃষ্ঠ এবং এ দু'টির মধ্যবর্তী সমস্ত জিনিসের রব।"

রব হচ্ছেন যিনি সৃষ্টি করা, প্রতিটি জিনিসের পরিমাণ নির্ধারণ করা, পথ প্রদর্শন ও আইন বিধান দেওয়া, লালন-পালন করা, রিযিক্‌ দান করা, জীবনদান করা, মৃত্যু প্রদান করা, সন্তান দেয়া, আরোগ্য প্রদান করা ইত্যাদি সবকিছু করার ক্ষমতা রাখেন।[১] চতুর্থ আয়াতে আল্লাহ্‌কে 'বিচার দিনের মালিক' বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বিচার দিন সম্পর্কে সূরা আল-ইনফিতারের ১৭-১৯ নং আয়াতগুলোতে বলা হয়েছে,
"আর কিসে আপনাকে জানাবে প্রতিদান দিবস কী? তারপর বলি, কিসে আপনাকে জানাবে প্রতিদান দিবস কী? সেদিন কোনো মানুষ অন্য মানুষের জন্য কোনো কিছুর ক্ষমতা রাখবে না। আর সেদিন সকল বিষয় হবে আল্লাহর কর্তৃত্বে।"

পঞ্চম আয়াতে আল্লাহ ছাড়া অন্যসব উপাস্যের ইবাদাত করা ও সেগুলোর কাছে সাহায্য চাওয়াকে অস্বীকার করা হয়েছে। ইবাদত হল ভয়-ভীতি, আশা-আকাঙ্খার সাথে সেইসব কথা বা কাজ সম্পাদন করা, যা আল্লাহ পছন্দ করেন ও যাতে তিনি সন্তুষ্ট হন। যেসব কথা ও কাজে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন তা থেকে বিরত থাকাও ইবাদাত। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করা অথবা কারো কাছে অলৌকিক সাহায্য কামনা করা শির্ক হিসেবে গণ্য হয়।

সূরাটির ষষ্ঠ আয়াতে হিদায়াত চাওয়া হয়েছে। স্নেহ ও করুণা এবং কল্যাণ কামনাসহ কাউকে মঙ্গলময় পথ দেখিয়ে দেয়া ও মনজিলে পৌঁছিয়ে দেয়াকে আরবী পরিভাষায় হিদায়াত বলে। 'হিদায়াত' শব্দটির দুইটি অর্থ। একটি পথ প্রদর্শন করা, আর দ্বিতীয়টি লক্ষ্য স্থলে পৌঁছিয়ে দেয়া। সিরাত শব্দের অর্থ হচ্ছে রাস্তা বা পথ। আর মুস্তাকীম হচ্ছে, সরল সোজা।[১]

সূরাটির শেষ আয়াত এর পূর্বের আয়াতের 'সরলপথ'-এর ব্যাখ্যা।

সূরা আল-ফাতিহার প্রথম তিনটি আয়াতে আল্লাহ্‌র প্রশংসার বর্ণনা করা হয়েছে এবং প্রশংসার সাথে সাথে ঈমানের মৌলিক নীতি ও আল্লাহ্‌র একত্ববাদের বর্ণনাও সূক্ষভাবে দেয়া হয়েছে। তৃতীয় আয়াতে এর দু'টি শব্দে প্রশংসার সাথে সাথে কিয়ামত ও পরকালের কথা বলা হয়েছে। চতুর্থ আয়াতের এক অংশে প্রশংসা এবং অপর অংশে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়েছে। مَـالِكِ يَوْمِ الدِّينِ - এর মধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, মানুষ পরকালেও আল্লাহ্‌র মুখাপেক্ষী। প্রতিদান দিবসে আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য কারো সাহায্য পাওয়া যাবে না। একজন বুদ্ধিমান ও বিবেকবান ব্যক্তি মনের গভীরতা থেকেই এ স্বতঃস্ফুর্ত স্বীকৃতি উচ্চারণ করছে যে, আমরা তোমাকে ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত করি না। এ মৌলিক চাহিদাই إِيَّاكَ نَعْبُدُ তে বর্ণনা করা হয়েছে। অভাব পূরণকারী একক সত্তা আল্লাহ্‌, সুতরাং নিজের যাবতীয় কাজে সাহায্যও তার নিকট প্রার্থনা করবে। এ মৌলিক চাহিদাই বর্ণনা وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ -এ করা হয়েছে। মোটকথা, এ চতুর্থ আয়াতে একদিকে আল্লাহ্‌র প্রশংসার সাথে একথারও স্বীকৃতি রয়েছে যে, ইবাদত ও শ্রদ্ধা পাওয়ার একমাত্র তিনিই যোগ্য। অপরদিকে তার নিকট সাহায্য ও সহায়তার প্রার্থনা করা এবং তৃতীয়তঃ আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত না করার শিক্ষাও দেয়া হয়েছে। শেষ তিনটি আয়াতে মানুষের দোয়া ও আবেদনের বিষয়বস্তু এবং এক বিশেষ প্রার্থনা পদ্ধতি শিক্ষা দেয়া হয়েছে।

সূরা ফাতিহা বাংলা তাফসীর

একটি হাদীসে মুহাম্মাদের এক সঙ্গীর গল্প বর্ণনা করা হয়েছে, যিনি এক বিষাক্রান্ত আদিবাসী প্রধানের ঔষধ হিসাবে আল-ফাতিয়াহ পাঠ করেছিলেন। হাদীস অনুসারে মুহাম্মদ পরে সঙ্গীকে জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনি কীভাবে জানলেন যে এটি রুক্বায়াহ [ঔষধ]?"[৫] মুহাম্মদ আল বুখারী তার সংগ্রহে রেকর্ড করেছেন:

আবু সাইদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
যখন আমরা আমাদের একটি যাত্রায় ছিলাম, আমরা এমন এক জায়গায় ফিরে গেলাম যেখানে একজন দাসী মেয়ে এসে বলল, "এই গোত্রের প্রধান বিচ্ছু দ্বারা আহত হয়েছিল এবং আমাদের লোকেরা উপস্থিত নেই; তোমাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে যে তাকে চিকিৎসা করতে পারে (কিছু পাঠ করে)?" তারপরে আমাদের একজন লোক তার সাথে চলে গেল। যদিও আমরা মনে করিনি যে তিনি এই জাতীয় কোনও চিকিৎসা জানতেন। কিন্তু তিনি কিছু পাঠ করে চিকিৎসা করলেন এবং অসুস্থ লোকটি সুস্থ হয়ে উঠল এবং তারপরে তিনি তাকে ত্রিশটি ভেড়া উপহার দিয়েছিলেন এবং (পুরস্কার হিসাবে) আমাদেরকে দুধ পান করান। তিনি ফিরে আসলে, আমরা আমাদের বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করলাম, "আপনি কি কিছু পাঠ করে চিকিৎসা করা জানেন?" তিনি বলেছিলেন, "না, তবে আমি কেবল সূরা আল-ফাতিহা আবৃত্তি করে চিকিৎসা করেছি।" আমরা বললাম, আমরা মদীনা পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত বা নবীকে জিজ্ঞাসা করার আগ পর্যন্ত কিছু না বলতে (এ সম্পর্কে), আমরা রাসূলের নিকট উল্লেখ করেছিলাম (আমরা যে মেষগুলি নিয়েছিলাম তা গ্রহণ করা বৈধ ছিল কি না তা জানতে) । নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তিনি কীভাবে জানতে পেরেছিলেন যে এটি (আল-ফাতিহা) চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে? আপনার পুরস্কার বিতরণ করুন এবং আমার জন্য এটির একটি অংশও অর্পণ করুন।"

— মুহাম্মদ আল বুখারী, সহীহ আল বুখারী [৮]
অনুরূপ সংস্করণ পাওয়া যায়: আল বুখারী: ০০৭.০৭১.৬৪৫[৯] — ঔষধ; আল বুখারী: ০০৭.০৭১.৬৩৩[১০] — ঔষধ; আল বুখারী: ০০৭.০৭১.৬৩২[১১] — ঔষধ

মুসলিম ইবনে আল-হাজ্জাজ লিপিবদ্ধ করেছেন আবু হুরায়রাহ বলেছিলেন যে মুহাম্মাদ বলেছেন:

কেউ যদি এমন প্রার্থনা দেখে যেখানে সে উম্মুল কুরআন তিলাওয়াত করে না, [১২] তবে এর ঘাটতি রয়েছে [তিনি এই তিনবার বলেছেন] এবং তা সম্পূর্ণ হয় না।

— মুসলিম ইবনে আল-হাজ্জাজ, সহিহ মুসলিম''[১৩][১৪]
অনুরূপ একটি কাহিনী আল বুখারীতে পাওয়া যায়: ০০১.০১২.৭২৩[১৫]—সালাতের বৈশিষ্ট্যসমূহ।

মুসলিম ইবনে আল হাজ্জাজ লিপিবদ্ধ করেছেন:

"হযরত জিব্রাইল (আঃ) যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে বসে ছিলেন, তখন তিনি তাঁর উপরে একটি শব্দ শুনলেন এবং মাথা উঠালেন। তিনি বললেন: 'এটি আকাশের একটি দরজা যা আজ খোলা হয়েছে এবং যা আজকের আগে কখনও খোলা হয়নি।' সেখান থেকে একজন ফেরেশতা নেমে এসেছিলেন। এবং তিনি (হযরত জিব্রাইল) বলেছেন: 'এটি এমন এক ফেরেশতা যিনি পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছেন, যিনি এর আগে কখনও অবতরণ করেননি।' তিনি (সেই ফেরেশ্তা) শান্তির শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেনঃ দুটি নূরের সুসংবাদ দাও; যার পূর্বে আপনার কোন নবীকে দান করা হয়নি: কিতাবের সূরা ফাতিহা (সূচনা অধ্যায়) এবং সূরা বাকারার শেষ। আপনি তাদের এটি দেওয়া ছাড়া একটি শব্দও পাঠ করবেন না।

— মুসলিম ইবনে আল-হাজ্জাজ, সহিহ মুসলিম[১৬]

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ,অর্থ pdf । সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ ছবি

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শিক্ষামূলক ব্লগ বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url