আমার প্রিয় লেখক অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আশা করি প্রত্যেকে মহান আল্লাহ তা'লার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছো । আজ আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করবো আমার প্রিয় লেখক অনুচ্ছেদ রচনা । আজকের এই পড়াটি যদি তুমি ভালো করে গুছিয়ে শিখতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যি আমার প্রিয় লেখক অনুচ্ছেদ রচনাটি খুব মনযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়তে হবে । তাহলে চলো আর দেরি না করে শুরু করা যাকঃ- 

আমার প্রিয় লেখক অনুচ্ছেদ


আমার প্রিয় লেখক অনুচ্ছেদ রচনা 

আমার প্রিয় লেখক অনুচ্ছেদ

আমার প্রিয় লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি বাংলার একান্ত দরদি কথাশিল্পী, বাঙালির বেদনার বিশ্বস্ত রূপকার। তাঁর লেখনী স্পর্শে বাংলা কথাশিল্প অর্থাৎ উপন্যাস ও ছোটগল্প জনপ্রিয়তার শীর্ষে আরোহণ করেছে। তাঁর লেখনীতেই বাংলার ব্যথিত মানুষের বাণীহারা বেদনা পেয়েছিল প্রকাশের প্রকৃত ভাষা। সাহিত্য দরবারে তিনি শোনালেন সমাজের চিরবঞ্চিত, চির অবহেলিতদের জীবনকাহিনি, মর্মস্পর্শী ভাষায় রচনা করলেন তাদের বেদনাময় অশ্রুনৈবেদ্য। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী কথাশিল্পী। বাংলার মাটি ও মানুষকে তিনি দেখেছেন সম্পূর্ণ নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে। তাঁর সৃষ্টির মধ্যে তাই সাধারণ মানুষ অসাধারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। তিনিই সার্থকভাবে দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে কী অপার মনুষ্যত্বের মহিমা; অনুভব করি যেন বাঙালির সীমিত জীবনের অন্তরালেও চলেছে কত বিচিত্র রূপের লীলাভিসার। এ অনুভবই তাঁর রচনায় পরিস্ফুট। তাই শরৎচন্দ্র আমার প্রিয় লেখক । তাঁর রচিত 'মহেশ' অনবদ্য ছোটগল্প । উপন্যাসগুলোর মধ্যে চরিত্রহীন, পল্লীসমাজ, পথের দাবী, শ্রীকান্ত, গৃহদাহ প্রভৃতি উৎকর্ষ ও শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। তিনি সমাজের সকল স্তরের মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। বাঙালি জাতি তাঁর কাছে নানাভাবে ঋণী। কেবল বাঙালি জাতিই নয় সমগ্র ভারতবর্ষ এবং বাংলাদেশ শরৎচন্দ্রের কাছে অপরিশোধ্য ঋণে আবদ্ধ। 
বিশ্বকবির ভাষায়— “দেশের হৃদয় তারে রাখিয়াছে ধরি”।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ   আমার প্রিয় লেখক অনুচ্ছেদ রচনা 

আশা করি আজকের এই আমার প্রিয় লেখক অনুচ্ছেদ রচনার বিষয়ে তুমি ভালো ধারনা পেয়েছো । এই আর্টিকেলটি যদি তোমার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই তুমি তোমার ফেইসবুক ফ্রেন্ডসদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেনা । এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ । 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url