বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের সাম্প্রতিক প্রবণতা বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যকার সংলাপ

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজ আমি তোমাদের সাথে আলোচনা করবো এইচএসসি পরিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ একটি সংলাপ । সংলাপটি হলো 'বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের সাম্প্রতিক প্রবণতা' । তোমরা যদি এই সংলাপটি মনের মতো করে গুছিয়ে শিখতে চাও তাহলে মনযোগ সহকারে এই পোস্টটি পড়তে থাকুন । 

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের সাম্প্রতিক প্রবণতা বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যকার সংলাপ

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের সাম্প্রতিক প্রবণতা বিষয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ 

জিকরুলঃ শুভ সকাল ।

ছয়ফুলঃ শুভ সকাল ।

জিকরুলঃ একটা বিষয় লক্ষ করেছিস, এবার ফেব্রুয়ারিতেই বৃষ্টি শুরু হলো ব্যাপারটা কী বল তো?

ছয়ফুলঃ এ রকম পরিবর্তনের কারণ বুঝতে পারছিস না?

জিকরুলঃ না তো। কেন এমন হচ্ছে?

ছয়ফুলঃ আরে কয়েক বছর ধরেই তো এ রকম ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। পত্রপত্রিকায় পড়িসনি, ইন্টারনেটে দেখিসনি?

জিকরুলঃ হ্যাঁ দেখেছি, বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকা সাগরগর্ভে চলে যাওয়ার খবর শুনেছি। বুঝতে পারছি না কী হবে? 

ছয়ফুলঃ তাহলে শোন, বৈশ্বিক উষ্ণতা অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর এর ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে বায়ুতে, পানিতে, মাটিতে, ওজোন স্তরে, প্রকৃতিতে ।

জিকরুলঃ ও তাই বল, আর এর ফলে সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ছে, দুই মেরুর বরফ অস্বাভাবিক মাত্রায় গলছে, ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে গড় তাপমাত্রা, ওজোন স্তরে ছিদ্র বড় হচ্ছে । কিন্তু এসবের কারণ কী?
ছয়ফুলঃ এসবের কারণ হলো গ্রিনহাউস ইফেক্ট, অতিমাত্রায় কার্বন নিঃসরণ, বনভূমি উজাড়, পাহাড় কর্তন, নদ-নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ, যন্ত্রনির্ভরতা ও অযাচিত যুদ্ধবিগ্রহ। এসব বন্ধ না হলে অথবা স্বাভাবিক মাত্রায় কমিয়ে না আনলে বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ুর পরিবর্তন অব্যাহত থাকবে।

জিকরুলঃ এর জন্য মানুষই তো অনেকাংশে দায়ী। মানুষেরই তো প্রতিকারের আশু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ।

ছয়ফুলঃ অবশ্যই । না হলে গোটা পৃথিবী দ্রুত ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন হবে।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের সাম্প্রতিক প্রবণতা বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যকার সংলাপ 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url