১২টি লাইফটাইম এর সেরা ব্লগিং নিশ বা টপিক অনলাইনে আয় করার জন্য 2022
যে কোনো একটি উদ্যাগ শুরু করার পূর্বে সর্বপ্রথম সেই উদ্যোগের জন্য একটি বিষয় বাছাই করতে হয়, যাকে ইন্টারনেটের ভাষায় বলা হয় নিশ বা ব্লগ টপিক সিলেকশন (Niche Selsection) ।
আপনি যদি একটি ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট শুরু করতে চান, কিন্ত বোঝতে পারছেন না যে কোন টপিক বা নিশের উপর ব্লগিং শুরু করবেন, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য । কারন এই আর্টিকেলে আপনি ১২ টির ও বেশি লাইফটাইমের জন্য ব্লগিং নিশ বা টপিক আইডিয়া সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন । যেগুলোর চাহিদা সারাজীবন থাকবে ।
নিশ কি/ ব্লগ টপিক (What is niche)
নিশ মানে হচ্ছে বিষয় । আপনিযে বিষয়টির উপর কন্টেন্ট তৈরি করবেন সেই বিষয়টিকে বলা হয় নিশ ।
কি কি উপায়ে ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় ? (What are the ways blogging and affiliate marketing? )
বর্তমান সময়ে দুটি উপায়ে ব্লগিং করা যায় । একটি হলো ওয়েবসাইট (কন্টেন্ট রাইটিং) এবং অপরটি হচ্ছে ইউটিউব (ভিডিও কন্টেন্ট) এর মাধ্যমে । যদি আপনি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করতে চান, তাহলে ইউটিউব প্লাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারেন । আর আর্টিকেল কন্টেন্ট নিয়ে ব্লগিং করতে চাইলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে হবে ।
আরো পড়ুন:- Oppo অরিজিনাল মোবাইল চেনার উপায় | অপ্পো মাস্টার কপি মোবাইল চেনার উপায় । Oppo Original Check Code
নিশ কেন গুরুত্বপূর্ণ
আমি একটু আগেই বলেছি যে কোনো একটি উদ্যোগ শুরু করার পূর্বে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে নির্দীষ্ট একটি বিষয় বাছাই করতে হবে । নিশ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আপনাকে ব্লগিং শুরু করার পূর্বে বাছাই করতেই হবে । একটি ব্লগ সাইট টিকে থাকা নির্ভর করে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্লগ টপিক বা ব্লগ নিশ । আপনার তৈরি করা ব্লগ থেকে ইনকাম কি পরিমানের হবে তা নির্ভর করে আপনি কোন ব্লগ নিশ বা টপিকের উপর আপনার সাইটটি প্রতিষ্টিত করা । তাই আপনি যখন ব্লগ তৈরি করবেন তখন অবশ্যই এমন একটি নিশ সিলেক্ট করবেন যার উপর আপনার দক্ষতা রয়েছে এবং আপনি সেখানে যথেষ্ট পরিমাণ আর্টিকেল প্রকাশ করতে পারেন । তার জন্যই মূলত নিশ এত গুরুত্বপূর্ণ ।
নিশ কত প্রকার
নিশ সাধারণত দুই প্রকার । ১। মাইক্রোনিশ ব্লগ এবং ২। মাল্টি নিশ ব্লগ বা নিশ ব্লগ ।
মাল্টি নিশ ব্লগ বা নিশ ব্লগ কী? (What is multi niche blog?)
মাল্টি নিশ ব্লগ বা নিশ ব্লগ ব্লগ হচ্ছে এমন একটি টপিক যেখানে অনেক গুলো কিওয়ার্ড ফোকাস করে আর্টিকেল প্রকাশ করা হয় । যেমনঃ আমাদের ব্লগ সাইটে অনেক গুলো টপিকের উপর আর্টিকেল প্রকাশ করা হয় । লাইক প্রযুক্তি খবর, শিক্ষা, টিপস এন্ড ট্রিক্স, কোরআন এবং হাদিস ইত্যাদি । এটি হলো মাল্টি নিশ ব্লগ বা নিশ ব্লগ ।
আরো পড়ুন:- সব দেশের মোবাইল কোড নাম্বার । সব দেশের ফোন কোড । সব দেশের মোবাইল কোড । বিশ্বের সব দেশের মোবাইল কোড নাম্বার
মাইক্রো ব্লগ নিশ কী (what is micro niche blog in bangla)?
মাইক্রোনিশ ব্লগ হচ্ছে এমন একটি টপিক যেখানে নির্দিষ্ট একটি কিওয়ার্ড কে ফোকাস করে আর্টিকেল প্রকাশ করা হয় । উদাহরন হিসেব বলা যায় যুগান্তর নিউজ । যদিও তাদের টপিক অনেক বড় কিন্ত ঐ নিউজ সাইটে শুধু নিউজ প্রকাশ করা হয় । আরেকটি উদাহরন দেওয়া যায়, যেমন বাংলায় যেমন বর্তমানে ইনকাম টিউনস একটি সাইট রয়েছে। এই সাইটের সকল আর্টিকেল অনলাইন আর্নিং এর উপর বিভিন্ন আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকে, এবং এটিই হচ্ছে ব্লগটির টপিক। বাংলায় যেমন বর্তমানে ইনকাম টিউনস রয়েছে। এই সাইটের সকল আর্টিকেল অনলাইন আর্নিং এর উপর, এবং এটিই ব্লগটির টপিক।
সেরা ২০টি লাভজনক ব্লগিং বিষয় – জনপ্রিয় ব্লগ নিস / টপিক লিস্ট
১। রেসিপি এবং কুকিং (Recipes and cooking)
আপনি যদি রান্না করতে ভালবাসেন, তাহলে বিভিন্ন ধরনের খাবার কি ভাবে তৈরি করতে হয়, সেটার প্রসেস কি, কি কি ইনগ্রিডিয়েন্স বা উপাদান এর প্রয়োজন হতে পারে, এই বিষয়গুলো নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন । এই ধরনের ব্লগ গুলো অনেক জনপ্রিয় । এবার সেটা হোক ইউটিউবে কিংবা ওয়েবসাইটে । মানুষ জানতে চায় নতুন নতুন খাবার তৈরি করার ফরমুলা । তাই যারা কুকিং লাভার এই নিশটি তাদের জন্য অনেক অনেক ভালো হবে ।
২। খাবার রিভিউস (Food Reviews)
খাবার শিল্পতে আরেকটি জনপ্রিয় টপিক হলো খাবার রিভিউ করা । এই ধরনের ব্লগ গুলোতে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের খাবারের পণ্যকে রিভিউ করা হয় । ফুডগুলোর ধরন কেমন, মূল্য কেমন, কোথায় পাওয়া যায়, এই ধরণের বিষয় গুলো নিয়ে সাধারণত কন্টেন্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ বা প্রকাশ করতে হয় । খাবার পছন্দ করেনা এমন মানুষ খোঁজে পাওয়া কঠিন । মজার মজার খাবারগুলো কোথায় কোথায় পাওয়া যায়, সেগুলোর ধরণ কেমন, সেগুলোর মূল্য কেমন, এই ধরণের তথ্য দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার নিয়ে রিভিউ লেখা যেতে পারে ।
আরো পড়ুন:- সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ঢাকা এর শাখা সমূহ । Branches of Sundarbans Courier Service Dhaka
পূর্বে বলা রেসিপি নিশ এবং বর্তমানে ফুড রিভিউ নিশ এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে । যেমন রেসিপি নিশ-এ আপনাকে দেখাতে হবে একটি ফুড কিভাবে তৈরি করতে হয়, তার জন্য কি কি উপাদান প্রয়োজন হয় আর ফুড রিভিউস-এ সাধারণত তৈরি করার প্রসেসটা দেখানোর প্রয়োজন নেই । এই নিশে আপনাকে শুধুমাত্র ফুডগুলোর কোয়ালিটি কেমন, মূল্য কেমন, কোথায় পাওয়া যায়, এই বিষয়গুলো পাথকদেরকে জানাতে হবে । যেন তারা তাদের পছন্দের ফুড গুলোকে সহজেই খোঁজে পেতে পারে এবং ইনজয় করতে পারে ।
৩। কি ভাবে (How to)
এই ধরনের ব্লগে সাধারণত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিতে হয় । মানুষ Google-এ তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর সার্চ করে থাকে । আমরা যদি উদাহরণ হিসেবে Google-এ How to লিখে সার্চ করি তাহলে নিচে অনেক কিওয়ার্ড দেখাচ্ছে Google যা আমরা মানুষেরাই সাধারণত সার্চ করে থাকি ।
তাই আপনি চাইলে আপনার ব্লগে মানুষের ভিবিন্ন সমস্যার সমাধান দিয়ে পারেন । এই ব্লগ নিশ বা টপিকটি ও অনেক জনপ্রিয় । কারন প্রতিদিন কয়েক কোটির ও বেশি সার্চের মধ্যে কি ভাবে বা How to দিয়ে সবচেয়ে বেশি সার্চ হয়ে থাকে । তাই এই নিশটি নিয়ে কাজ করলে হিউজ পরিমানে ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব ।
৪। প্রোডাক্টস রিভিউস (Product Reviews)
মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট বা পণ্য ব্যবহার করে থাকে এবং যখনি কিছু পণ্য কিনতে যায়, তার পূর্বে সে পণ্য সম্পর্কে আগে থেকে আইডিয়া নিতে চায় । যে তার বাজেটের মধ্যে কোন কোন কোম্পানি একি ধরণের পণ্য অফার করছে । সে পণ্য কি কি সুবিধা রয়েছে, কি কি অসুবিধা রয়েছে, এই ধরণের রিভিউ গুলো পড়ার মাধ্যমে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে কোন পণ্যটি তাদের জন্য ভালো হবে । তাই যেকোনো একধরনের পণ্য বাছাই করে সে পণ্য গুলো সম্পর্কে রিভিউ কন্টেন্ট পাবলিশ করা যেতে পারে । যেন পাঠকরা আপনার ব্লগটি পড়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে ।
উদাহরণস্বরুপ, আপনারা যদি অ্যামাজন ভিজিট করেন, তাহলে আপনারা সেখানে হাজারও ধরনের পণ্য সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন । আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আপনার প্রোডাক্ট রিভিউ ব্লগটি যদি জনপ্রিয় হয় তাহলে আপনি Google Adsense এর পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতে পারবেন ।
আরো পড়ুন:- মোবাইলের আইএমইআই চেক কোড ২০২২
৫। ব্রেকিং নিউজ (Breaking News)
মানুষ দেশে বিদেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখতে চায় । একটা সময় ছিল মানুষ শুধু পত্রিকা পড়তো । কিন্ত ইন্টারনেটের যুগে প্রত্যেকের হাতেই স্মার্ট ফোন রয়েছে । সবাই এখন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিউজ পড়ে থাকে । তাই নিউজ নিশটা নিয়েও কাজ করা যেতে পারে ব্লগে ।
৬। বিউটি এবং ফ্যাশন (Beauty and Fashion)
এটি অনেক জনপ্রিয় একটি নিশ । এমন কোনো মানুষ নেই যে নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে চায়না । ট্রেন্ড যুগের সাথে নিজেকে কিভাবে আধুনিক করা যায়, সে বিষয়গুলোর সম্পর্কে জানতে চায়, তাই একটি বিউটি ব্লগ ক্রিয়েট করে সেখানে পাঠকদেরকে বিভিন্ন বিউটি টিপ শেয়ার করা যেতে পারে । এবার সেটা হোক স্কিন কেয়ার, হেয়ার কেয়ার অথবা যেকোনো ধরনের বিউটি ফ্যাশন রিলেটেড টিপস ।
৭। ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)
ডিজিটাল মার্কেটিং মানেই হচ্ছে প্রচার- প্রচারণা করা । ইন্টারনেটের ব্যবহার করে কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করে একটি কোম্পানির ব্রান্ড অ্যাওয়ারনেস (Awarness) বৃদ্ধি করা যেতে পারে বা তাদের পণ্য সেবাগুলোকে গ্রাহকদের কাছে সহজেই পৌছে দেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়টি সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে করা হয় । তাই এখন অনেক মানুষ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে আগ্রহী । তাই যাদের ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান (Knowledge) রয়েছে তারা চাইলে একটি ব্লগ তৈরি করে সেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ক টিপস এন্ড ট্রিক্স বা কিভাবে করতে হয় এ বিষয়ক সম্পর্কে নতুনদেরকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে ব্লগিং করতে পারেন ।
৮। ব্লগিং টিপস (Blogging Tips)বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে হাজারও লাখো ওয়েবসাইট রয়েছে, একেকটি ওয়েবসাইট একেক বিষয়ের ওপর তৈরি করা । কেউ ব্লগিং নিউজ প্রকাশ করে, কেউ ট্রাভেল নিউজ প্রকাশ করে । মানুষ এখন বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করে বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট পড়ে থাকেন । তাই ব্লগিং শিল্পে অনেকেই যুক্ত হচ্ছে ব্লগার হিসেবে । এবং তাদের পছন্দের বিষয়ের উপর ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে লেখালেখি করে । কিন্ত যারা একেবারেই নতুন তারা ব্লগিং এ অনেক ভুল করে বসে । যার জন্য তারা অনেক সময় সফলতা পায় না । তাই যাদের ব্লগিং বিষয়ে এক্সপেরিয়েন্স রয়েছে তারা চাইলে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে সেইখানে ব্লগিং টিপস এন্ড ট্রিক্স শেয়ার করতে পারেন ।
আরো পড়ুন:- ফেসবুক মার্কেটিং । ফেসবুক মার্কেটিং বাংলা টিউটোরিয়াল ২০২২
৯। সেলিব্রিটি (Celibrity)
এটিও অনেক জনপ্রিয় একটি নিশ । তাই প্রত্যেকটি মানুষেরি প্রায় দেশি-বিদেশি পছন্দের তারকা রয়েছে । সে তারকারা কি করছে, তাদের লাইফে কি ঘটেছে, তাদের কোন নতুন শো টি মুক্তি পেতে যাচ্ছে এই ধরনের সেলিব্রিটি নিউজ নিয়েও ব্লগিং শুরু করা যেতে পারে, যারা মুভি লাভার তাদের জন্য এই নিশটি অনেক ভাল একটি টপিক বা নিশ হতে পারে ব্লগিং শুরু করার জন্য ।
১০। স্বাস্থ্য (Health)
প্রায় প্রত্যেকটি মানুষেরি শারিরীক কোনো না কোনো সমস্যা হয়ে থাকে জীবনের কোনো একটি সময়ে । তাই প্রায় প্রত্যেকটি মানুষেরি এ বিষয় গুলো সম্পর্কে জানার আগ্রহ রয়েছে । যাদের মেডিকেল সাইন্স সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে, তারা চাইলে একটি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ব্লগ তৈরি করতে পারে । এবং সেখানে স্বাস্থ্য সচেতনামূল বিষয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল প্রকাশ করা যেতে পারে ।
১১। খেলাধুলা (Sports)
খেলাধুলা পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুবি কম । প্রত্যেকের কোনো না কোনো খেলা পছন্দ । এবার সেটা হোক ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাটমিন্টন এধরনের বিভিন্ন রকমের খেলা রয়েছে । তাই স্পোর্টস লাভারদের জন্য এই নিশটি হতে পারে অনেক অনেক ভালো । খেলাধুলা সম্পর্কে যেহেতু অনেক মানুষের ইন্টারেস্ট রয়েছে, তাই এ সম্পর্কিত বিষয়ের উপর ব্লগিং করলে অনেক ট্রাফিক ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে ।
১২। অর্থায়ন উপদেশ (Financial Advice)
পৃথিবীতে এমন মানুষ খোঁজে পাওয়া খুবই কঠিন যার জীবনে অর্থের প্রয়োজন নেই, প্রায় প্রত্যেক মানুষের জীবনেই অর্থের প্রয়োজন রয়েছে, একটি সুন্দর জীবন কাটানোর জন্য । তাই ফিনান্সিয়াল উপদেশ সম্পর্কিত একটি ব্লগ সাইট ক্রিয়েট করে পাঠকদেরকে ফিনান্সিয়াল স্বাধিনতা অর্জন করতে পারে জীবনে সে বিষয়ে টিপস এন্ড ট্রিক্স দেওয়া যেতে পারে ।
অনলাইনে বা অফলাইনে প্রায় হাজারও রকম উপায় রয়েছে অর্থ উপার্জন করার । কিন্তু এমন মানুষ রয়েছে যাদের সে বিষয় সম্পর্কে ধারনা নেই । তাই যারা ফিনান্সিয়ালি ব্রক তাদেরকে অর্থ উপার্জনে সহায়তা করতে এ বিষয়ে টিপস এন্ড ট্রিক্স দিয়ে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করা যেতে পারে । যেহেতু অর্থ প্রায় প্রত্যেকটি মানুষের সাথে সংযুক্ত তাই এই বিষয়ের উপর অডিয়েন্স এর পরিমাণও অনেক বেশি । তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে অর্থ এমন একটি বিষয় যেটার প্রতি প্রত্যেকেরই আকর্ষরণ রয়েছে । তাই কোনো ভুল তথ্য দেয়া যাবে না । এতে করে অন্যের ক্ষতি হতে পারে । এবং আপনার ব্লগের প্রতি তাদের তাদের আস্থা, বিশ্বাসের পরিমাণ কমে যেতে পারে ।
একটি বিষয় সর্বদাই মনে রাখবেন Blogging is all about giving । যে নিশ নিয়ে কাজ করা হবে, সে নিশ রিলেটেড যত বেশি সাহায্য করা যেতে পারে, তত বেশি সাহায্য করা যেতে পারে, তত বেশি মানুষ সেই ব্লগে এসে ব্লগ পড়বে । এবং সে ওয়েবসাইটে তত বেশি সংযুক্ত (Connected) থাকবে ।
শেষ কথাঃ
ব্লগ সাইট তৈরির পূর্বে অবশ্যই নিচের নিয়ম গুলো ফলো করে সাইট তৈরি করবেন ।
১। মাইক্রোনিশ স্থির করুন (Select Micro niche )
আমরা এতক্ষণ যে নিশ গুলোকে আলোচনা করলাম প্রত্যেকটাই একেকটি বড় নিশ । এগুলোর মধ্যেও অনেক অনেক ছোট ছোট নিশ রয়েছে ।
উদাহরনস্বরুপ, স্বাস্থ্য ব্লগ অনেক বড় একটি নিশ । যেটাকে আমরা বিভিন্ন রুপে বিভক্ত করতে পারি । যেমনঃ ছেলেদের স্বাস্থ্য বা মেয়েদের স্বাস্থ্য । একটি ব্লগে দুটি নিশ হয়েগেল ।
এছাড়াও স্কিন কেয়ার বা হেয়ার কেয়ার বা ওয়েট লস এই প্রত্যেকটি একেকটি মাইক্রোনিশ স্বাস্থ্য ব্লগের জন্য । আপনি যদি প্রথম অবস্থ্যায় ব্লগিং শুরু করেন তাহলে অবশ্যই মাইক্রোনিশ নিয়ে ব্লগ শুরু করবেন ।
২। একটি সুন্দর ব্লগ তৈরি করেন (Create a professional website)
একটা কথা মনে রাখতে হবে ওয়েবসাইট আপনার ব্রান্ড । তাই আপনার ওয়েবসাইটটি সম্পূর্ণ প্রফেশনাল ও সুন্দর হওয়া উচিত । যেন পাঠকদের কাছে আপনার ওয়েবসাইটটি অনেক সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য হয় ।
৩। কাস্টম ডোমেইন ও কমদামি হোস্টিং (Domain and low cost Hosting)
আপনি যদি Blogger.com এ ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে একটি সাবডোমেইন ও হোস্টিং ফ্রি পাবেন যা আপনাকে Google দিবে । তবে হ্যা এখানে আপনি হোস্টিংটি ফ্রিতে ব্যবহার করবেন । আর একটি টপ লেভেল কাস্টম ডোমেই কিনে অ্যাড করবেন । যেমন আমাদের সাইটি ব্লগারে তৈরি করা । আর অবশ্যই নিশ রিলেটেড নামে ডোমেইন কিনবেন যাতে ভিজিটরদের মনে রাখতে সুবিধা হয় ।
আর আপনি যদি Wordpress এ সাইট তৈরি করেন তাহলে আপনি প্রথমে একটি কমদামি হোস্টিং কিনে সাইট তৈরি করবেন । যখন আপনার সাইটের ভিজিটর বেড়ে যাবে তখন একটি দামি হোস্টিং এ ট্রান্সফার করে নিবেন ।
শিক্ষামূলক ব্লগ বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url